|
|
|
|
|
জোলাইবাড়ীতে ডান্স ত্রিপুরা ডান্সের নামে চলছে লুটের রাজত্ব।
|
Bisweswar Majumder, 06/10/2018, Jolaibari
|
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, শান্তির বাজার মহকুমার অন্তরগত জোলাইবাড়ীর পিলাক কমিউনিটিহলে ডান্স ত্রিপুরা ডান্স নামে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এই অনুষ্ঠান পরিচালনা করছেন মেলাঘরের বাসিন্দা সম্রাট দাশগুপ্ত। আর অনুষ্ঠানের সেক্রেটারীর দায়িত্বে রয়েছেন মেলাঘরের বাসিন্দা দীপঙ্কর ঘোষ। তারানাকি এইবার সহ চার বছর এই অনুষ্ঠান চালাচ্ছে।
অনুষ্ঠানের নামে চালাচ্ছে লুটের রাজত্ব। তাদের ব্যাবহারে মর্মাহত হয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুললেন এক অভিবাবক। উনি উনার মেয়েকে নিয়ে গত মসের ১৯ তারিখ এই প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন করেন। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন থাকা ও খাওয়ার জন্য প্রত্যেক অংশগ্রহনকারীর কাছথেকে সম্রাট দাশগুপ্ত ও দীপঙ্কর ঘোষ দুজনে মিলে ১৮ হাজার টাকা আদায় করেছেন যা সম্রাট দাশগুপ্ত ও নিজমুখে স্বীকার করেছেন। এই প্রতিযোগীতা গত মাসের ২০ তারিখথেকে শুরুহয়। প্রতিযোগীতায় মোট ৪২ জন অংশগ্রহন করেন যার মধ্যে ৮ জন বহির রাজ্য তথা মোম্বাই এর বাসিন্দা। বিশালগড়ের অংগ্রহন কারীর অভিবাবিকা সংবাদ মাধ্যমের সামনে এই দলের কার্যকর্তাদের কির্তী কাহিনী তুলেধরেন।
১৮ হাজার টাকার বিনিময়ে যে সকল পরিষেবা দেবার কথাছিলো তার ধারে কাছেওনেই। জোলাইবাড়ী পিলাক টুরিষ্ট লজে কীর্তনিয়া দলের মতোথেকে দিন রাত্র যাপনকরতে হচ্ছে ত্রিপুরার বিভিন্ন প্রান্তথেকে আগত অংগ্রহনকারী প্রতিনিধি ও ওদের মাতা পিতাকে। অপরদিকে মোম্বাই থেকে আগত ৮ জনকে দেওয়াহয়েছে ভিআইপি পরিষেবা। সমপরিমান অর্থব্যায় করে এইধরনের পরিষেবা পাওয়ায় ক্ষুব্ধ অভিবাবকমহল। উনাদের অভিযোগ খাওয়ার গুনগতমানও নিম্নমানের আর শৌচালয় ও স্নানাগারের অবস্থাও শুচনীয় যা এর আগে তারা কখনো দেখেননি। তারা এমন পরিবেশে এর আগে দিন কাটাননি বলে অভিযোগ। অপরদিকে ডান্সের ক্ষেত্রে ত্রিপুরার বাইরে থেকে অংশগ্রহনকারীদের প্রাধান্য বেশি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ অভিবাবক মহলের।
এই সকল দুরনিতির ব্যাপারে সম্রাট দাশগুপ্তের কাছথেকে জানতে চাইলে উনি কোনোপ্রকার সৎউত্তর দিতে পারেননি। অনেক অভিবাবক সম্রাট দাশগুপ্তের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চেয়েও ভয়ে মুখখুলতে পারেননি। সম্রাট বাবু ও দীপঙ্কর বাবু লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেবার জন্য এই অনুষ্ঠান প্রতন্ত গ্রামীন এলাকায় চালিয়ে যাচ্ছে যাতে করে কেউ এই ব্যাপারে জানতে না পারে এমনটাই গুঞ্জন চলছে অভিবাবক মহলে। এখন দেখার বিষয় প্রশাষন এই ধরনের প্রতারকদের বিরুদ্ধে কিপ্রকার পদক্ষেপ গ্রহন করেন।
|
|
|
|
|